Aparna Howlader
  • Home
  • Research
  • Links
  • Academic Blog
  • Op-Eds
  • Bio

​দ্বিতীয় পর্বঃ স্যোশাল সায়েন্সে সাবজেক্ট চয়েস

1/14/2022

 
স্যোশাল সায়েন্সের সাবজেক্টগুলো এবং তাদের জব প্রসপেক্ট বোঝার পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হোলো আন্ডারগ্র্যাডে এডমিশন টেস্টের পর কিভাবে সাবজেক্ট নির্বাচন করা যায়। বাংলাদেশে বিদঘুটে এডমিশন টেস্টের কারণে এই বিশাল সিদ্ধান্তটি আমাদের এডমিশন টেস্টের পরপর নিতে হয়, এবং প্রায় কোনও ধারণা ছাড়াই শুধুমাত্র র‍্যাংকিং এর উপর নির্ভর করে। 

আপাতত, সিদ্ধান্তগুলো ছেলেমেয়েরা সাধারণত গড়পড়তা হিসেবে নিয়ে থাকে। অর্থাৎ, যদি আমার এডমিশন টেস্টের রোল হয় ৫০ এবং আমার আশেপাশে সবাই অর্থনীতি নেয়, তাহলে আমিও অর্থনীতি নেবো। এই সিদ্ধান্তের ধরণটির মধ্যে আমরা আমাদের ইন্টারেস্ট, জব টার্গেট, পারসোনালিটি এইসব নিয়ে বিচার করি না। 

এই পোস্টে আমি এইকয়টি বিষয় নিয়ে আমার অভিজ্ঞতায় কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। 

প্রথমত, কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে স্যোশাল সায়েন্সে সাবজেক্ট চয়েসের সময়? 

১) ইন্টারেস্টঃ অবশ্যই আমি কি পড়তে চাই, কি বিষয়ে আগ্রহী - এটা বুঝতে পারা জরুরি। সিলেবাস জোগাড় করে ঘেঁটে দেখা যেতে পারে আরও ভালো করে পার্থক্য বোঝার জন্য। 

২) জব টার্গেটঃ কি কি ধরণের জব করতে আমি বেশি আগ্রহী। আমি কি রিসার্চ লাইনে যেতে আগ্রহী। এই প্রশ্নগুলো নিজেকে করা জরুরি। 

৩) স্কিলসেটঃ স্যোশাল সায়েন্সের মধ্যে ইকনমিক্স প্রচণ্ডভাবে ম্যাথ নির্ভর। ভালো বা মন্দ যাই হোক, ম্যাথে ইন্টারেস্ট না থাকলে ইকনমিক্সে ভালো রেজাল্ট করা বেশ কঠিন। এই বিষয়গুলো নিয়েও ভাবতে হবে - আমি অনেক পরিশ্রমী ছাত্রকে দেখেছি ইকনমিকস নিয়ে হতাশ হয়ে যেতে কারণ আগে ম্যাথ করা ছিলো না। 

৪) ফ্যাকাল্টি রিসোর্সঃ কিছু বিভাগে ভালো শিক্ষকের সংখ্যা অন্য বিভাগের চেয়ে বেশী থাকতে পারে। শিক্ষকের মান, তাদের মানসিকতা একটা ছাত্রের জীবন বদলে দেয়। শিক্ষক নিয়ে কিছু জানাশোনা রাখা ভালো এই সিদ্ধান্তের জন্য। 

৫) ইনফ্রাস্ট্রাকচার রিসোর্সঃ অন্য কি কি সুবিধা দিতে পারে বিভাগ থেকে? কম্পিউটার ল্যাব? আলাদা লাইব্রেরি? জার্নাল এক্সেস? এইসব নিয়ে কিছু খবর নেওয়া ভালো। 

দ্বিতীয়ত, ধরা যাক, এইসব বিচারবিবেচনা করেই আমি যে সাবজেক্টে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম সেটাতে পেলাম না। এবং, তার পরের কোনও একটায় পেলাম। মনে রাখা জরুরি, স্যোশাল সায়েন্স খুব ইন্টার-রিলেটেড একটা ধারণা। এখানে এক বিষয়ে আন্ডারগ্র্যাড করে আরেক বিষয়ে মাস্টার্স করে আরেক বিষয়ে পিএইচডি এর চান্স বেশিরভাগ সময়েই খোলা। হতাশ হয়ে যাওয়ার কিছু নেই। যেটাতে চান্স পেয়েছি, সেটাতেই পড়ে - যেটাতে পড়ার লক্ষ্য ছিলো, তার দিকে নিজের প্রোফাইল সাজিয়ে পরে হায়ার স্টাডিজের এপ্লাই করাই যাবে। অর্থনীতির অনেক ছাত্র যেমন পরে হেলথ/পাবলিক পলিসিতে চলে যায়, আবার স্যোশিওলজির ছাত্ররা পড়তে পারে জেন্ডার স্টাডিজ নিয়ে। এইসব বাঁক পেরোনোর ব্যাপারে স্যোশাল সায়েন্স অন্য অনেক ফ্যাকাল্টির চেয়ে বেশী সুবিধাজনক। 

যেমন, আমার বর্তমান রিসার্চের একটা বিশাল অংশ আসলে পলিটিক্যাল ইকনমির কাজ, যেটা অনেকসময়েই ওভারল্যাপ করা পলিটিক্যাল সায়েন্সের সাথে। তার মানে, এই ধরণের রিসার্চ আমি পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র হলেও করতে পারতাম। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো র‍্যাংকিং নেই। তাই আমি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বেস্ট স্যোশাল সায়েন্সের জন্য, এই নিয়ে কিছু বলতে আগ্রহী না। লোকেশন, টিউশন ফি, থাকাখাওয়ার ব্যবস্থা  ইত্যাদি দেখে এইসব সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্যোশাল সায়েন্সের মধ্যে মূলত ইকনমিকসই পড়ানো হয়। সেটা মাথায় রাখতে হবে। 

Comments are closed.

    Author

    Sharing some suggestions and experiences for current Bangladeshi undergraduate students. All comments are my own, reflecting only my experience. 

    I will keep this in Bengali to make it easier for Bengali-speaking kids. 

    Archives

    August 2022
    July 2022
    January 2022

    Categories

    All

    RSS Feed

Powered by Create your own unique website with customizable templates.