Aparna Howlader
  • Home
  • Research
  • Links
  • Academic Blog
  • Op-Eds
  • Bio

​ষষ্ঠ এবং শেষ পর্বঃ এপ্লিকেশন প্যাকেজ প্রস্তুত

1/17/2022

 
আগের পর্ব থেকে আপনাদের মোটামুটি ধারণা হয়ে গেছে কি কি প্রস্তুতি নেওয়া লাগবে আন্ডারগ্র্যাডের কয়েক বছর। এখন আসা যাক, কি কি ডকুমেন্ট লাগবে আপনার নর্থ আমেরিকার কোনও স্কুলে ইকনমিক্সে এডমিশন পেতে। আমেরিকায় ইকনমিক্সে মাস্টার্সের জন্য ফান্ডিং ভালো সকুল থেকে পাওয়া কঠিন। তাই পিএইচডি এর আগে মাস্টার্স করতে চাইলে এটা মাথায় রাখতে হবে। আমি নিজে এই কারণ মাথায় রেখেই কানাডাতে মাস্টার্সের জন্য এপ্লাই করেছিলাম। আমেরিকা সরাসরি পিএইচডিতে ফান্ডিং দেওয়া প্রেফার করে ইকনমিক্সে। 

ইঞ্জিনিয়ারিং বা সায়েন্সের অনেক সাবজেক্টের সাথে ইকনমিক্সের পার্থক্য হোলো আপনাকে সরাসরি ডিপার্ট্মেন্টে এপ্লাই করতে হবে। ডিপার্ট্মেন্ট সেন্ট্রালি ফান্ডিং এর সিদ্ধান্তগুলো নেবে। কোনও প্রফেসরকে ইমেইল করার দরকার নেই। 

যে যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে - 

১) ট্রান্সক্রিপ্ট ঃ আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের ট্রান্সক্রিপ্ট। দেশে কনভার্ট করা লাগতে পারে ইন্টারন্যাশনাল স্কেলে। আপনার প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন অফিসের সাথে এনিয়ে কথা বলতে হবে। 

২) সিভিঃ সিভি বা রেজুমে আসলে আন্ডারগ্র্যাডের শুরু থেকেই তৈরি করে রাখা ভালো। বাইরে এপ্লাই করতে সিভি স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম্যাট ব্যবহার করুন। আমার "একাডেমিক ব্লগ" ট্যাবে একটা টেম্পলেট দেওয়া আছে। এমন অনেক টেম্পলেট পাবেন, তা নিয়ে নিজের সুবিধামত কাজ করুন। ওয়ার্ড বা লেটেক্সে লিখতে পারেন। সিভিতে আপনার একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের নাম থাকতে হবে, আপনার রেফারেন্স রাইটারদের নাম থাকতে হবে, যদি ইন্টার্নশিপ বা ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স থাকে, তা লিখতে হবে। আপনার যদি কোনও অর্গানাইজিং এক্সপেরিয়েন্স থাকে, তা সিভিতে লিখলে ভালো। আপনি যদি কোনও পাবলিকেশনের সাথে জড়িত থাকেন, সেটাও উল্লেখ করুন। মোটামুটিভাবে, বিক্রয়যোগ্য সব কথাই সিভিতে তুলে দিন। মিথ্যা কথা লিখবেন না। 

৩) জিআরই - টোফেলের রেজাল্টঃ ইটিএস থেকে আপনার রেজাল্ট আপনার নির্ধারিত স্কুলে পাঠিয়ে দেবে। পরীক্ষা দেওয়ার সময় কয়েকটি স্কুলের নাম সাথে করে নিয়ে যাবেন, এগুলোতে ডাইরেক্ট পাঠিয়ে দিতে পারবেন। 

৪) রেকমেন্ডেশন লেটারঃ আপনাকে ভালো চেনে এবং আপনার সম্বন্ধে ভালো কথা লিখতে পারেন, এমন কয়েকজন প্রফেসরদের কাছে থেকে লেটার নিন। বাংলাদেশে অনেক জায়গায় লেটার নিয়ে অনেক পলিটিক্স চলে। এই ব্যাপারে প্রথম থেকে সাবধান থাকুন। আপনার লেটার রাইটার কি লিখছেন এটাই বড় কথা, উনি কোথা থেকে পিএইচডি করেছেন, এটা বড় কথা না। লেটার রাইটারকে সবসময় আপডেটেড রাখুন। 

৫) Statement of Purpose (SOP): সকুলগুলো আপনার কাছে একটা স্টেটমেন্ট চাইবে। ২/৩ পৃষ্ঠার একটা essay লিখতে হবে যেখানে আপনি বলবেন আপনার রিসার্চ আইডিয়ার কথা, আপনার এক্সপেরিয়েন্স এর কথা এবং কেন এই পার্টিকুলার স্কুলে আপনি ভালো fit, সেটা। এখানে কোনও গল্পের দরকার নেই (যেমন, আমি জন্ম থেকে অর্থনীতি পড়তে চাই ইত্যাদি)। আপনার স্টেটমেন্ট পড়তে ওরা কয়েক মিনিটের বেশী সময় নেবে না। সুতরাং, শার্প লিখুন, টু দ্য পয়েন্ট লেখার চেষ্টা করুন। 

৬) পাবলিকেশন বা রাইটিং স্যাম্পলঃ কিছু থাকলে ভালো। না থাকলেও সমস্যা নেই, এটা কমপালসরি না। 

এই ডকুমেন্টগুলো একত্রে স্কুলকে পাঠাতে হবে। সকুল সিলেকশন করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। এইক্ষেত্রে আপনার রিসার্চ ইন্টারেস্ট, জিআরই এর স্কোর, সিজিপিএ এর ভূমিকা থাকবে খুব বেশী। আমি মাস্টার্সের সময় ৮ টি এবং পিএইচডি এর সময় ১১/১২ টি স্কুলে এপ্লাই করেছিলাম। সকুল সম্বন্ধে ভালো করে জেনে এপ্লাই করলে ফান্ডিং এর সুযোগ বেশি থাকবে। আপনার রেকমেন্ডেশন রাইটারদের সাহায্য নিতে পারেন সকুল সিলেকশনে। এই স্টেপটি আগে থেকেই ভাবা শুরু করুন - কোথায় এপ্লাই করবেন, কেন ওইখানে এপ্লাই করবেন, করলে কি কি বিষয়ে রিসার্চ করতে পারবেন। ফান্ডিং পাওয়া বা বাইরে যাওয়াটা আপনার শর্ট টার্ম টার্গেট, লং টার্মে আপনি এমন একটা স্কুলে যেতে চান, যেখানে আপনি শিখতে পারবেন, রিসার্চ এঞ্জয় করতে পারবেন, যে সকুল আপনাকে পরবর্তী ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুত করতে পারবে। 

Comments are closed.

    Author

    Sharing some suggestions and experiences for current Bangladeshi undergraduate students. All comments are my own, reflecting only my experience. 

    I will keep this in Bengali to make it easier for Bengali-speaking kids. 

    Archives

    August 2022
    July 2022
    January 2022

    Categories

    All

    RSS Feed

Powered by Create your own unique website with customizable templates.